ছুটিরপাতা: কবিতা

শিরোনাম
লোডিং...
Menu
Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Saturday, September 12, 2020

আজিজুর রহমানের কবিতা "বন্যা"

আজিজুর রহমানের কবিতা "বন্যা"


 বন্যা

আজিজুর রহমান


হায়রে বন্যা,

সর্বস্তরের মানুষের মুখে এনেছে কান্না।

বন্যার প্রবল গ্রাসে,

মানুষ আজ সর্বনাশে।

হারিয়ে যায় মানুষের ঘরবাড়ি,

নিঃস্ব হয় মানুষ সারি সারি।

হারায় বাড়িঘর হারায় মানুষের সহায়-সম্বল,

মানুষের জন্য বন্যা হয়ে দাড়িয়েছে অভিশাপ অমঙ্গল।

প্রতিবছর বন্যায়,

হাজারো ঘরবাড়ি ফসলি জমি হারায়।

ডুবিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম,

নিঃস্ব হয় মানুষ অবিরাম।

ভয়ঙ্কর বন্যায় মানুষের হয় ফসলহানি,

চারিদিকে দেখা দেয় শুধু পানি আর অর পানি।

বন্যার মত প্রাকৃতিক দূর্যোগে,

বাংলার মানুষ আজ দূর্ভোগে।

বন্যার কারণে ভেসে যায় মানুসের সাজানো সংসার,

নিঃস্ব হয় বাংলার শত পরিবার।

হাজারো জনপদ তলিয়ে বিচ্ছিন্ন হয় যোগাযোগ,

নেমে আসে মানুষের মাঝে দূর্ভোগ।

বানভাসী মানুষ হয়ে যায় কর্মহীন,

বোঝা হয়ে দাঁড়ায় তাদের হাজারো ঋণ।

শিশু বাচ্চাদের জন্যে থাকে সর্বদা ভয়,

পায়না অনেকে খাদ্য চিকিৎসা ও আশ্রয়।

সংকট হয় বিশুদ্ধ পানির,

ভয় থাকে শিশু বৃদ্ধদের প্রানহানির।

বিশুদ্ধ পানির অভাবে অনেকে বন্যার পানি পান করে,

ফলস্বরুপ নানা ধরণের অসুখ বিসুখ ছড়িয়ে পড়ে।

ডায়রিয়া আমাশয় কলেরায়,

হাজারো প্রানহানি ঘটে ভয়ঙ্কর বন্যায়।

প্রানীকুল পড়ে হুমকিতে,

প্রানহানি হয় বন্যার পানিতে।

কৃষকের ঘরে থাকে না বীজ গরু থাকে না গোয়ালে,

বন্যায় ঝরে যায় হাজারো প্রান অকালে।

অনেকে পায় সরকারি ত্রাণ,

মুখে আসে হাসি ভরে যায় প্রান।

এক শ্রেণির মানুষেরা ত্রাণ করে আত্মসাৎ,

যার কারণে দূর্ভোগে কাটে অসহায়দের শত রাত।

বন্যার কারণে ব্যাহত হয় দেশের উন্নয়ন,

ছল ছল জলে ভরা থাকে অসহায়দের দুই নয়ন।

সবাই মিলে নিজ উদ্যেগে,

অসহায়দের পাশে থাকবো সকল দূর্যোগে।


ছুটিরপাতা বন্ধু ফোরাম, পল্লী উন্নয়ন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল শাখা। 

Thursday, May 28, 2020

দেড়হাজার যাত্রাপালা ও নাটকের পরিচালক উলিপুরের নজির হোসেন

দেড়হাজার যাত্রাপালা ও নাটকের পরিচালক উলিপুরের নজির হোসেন





তানভীরুল ইসলাম-
‘যাত্রা’ ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় লোকনাট্য ধারা। সাধারণত চারঘন্টা ব্যাপ্তির এ আয়োজনে থাকে বিপুল বিনোদন। কর্নেট, বাঁশি আর ঢোলের শব্দ ও উজ্জ্বল আলোর ব্যবহারে নাটকীয় উপস্থাপনা যাত্রার বৈশিষ্ট্য। যাত্রার সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির আনন্দ-বেদনা, শেকড় ও ঐতিহ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, কালের বিবর্তনে আজ যাত্রাপালা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রাকে জীবনের ধ্যানজ্ঞান ও সাধনা মনে করে এখনও আকড়ে আছেন অনেক শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী, লেখক ও পরিচালক। তাদেরই একজন মোঃ নজির হোসেন কবিরাজ।
নজির হোসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মঞ্চস্থ প্রায় ১৫০০ যাত্রাপালা ও নাটকের পরিচালক। এই শিল্পে তাঁর রয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক শিষ্য। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ী ইউনিয়নের মাদারটারী গ্রামে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত আইজুদ্দিন ব্যাপারী ও মাতা মৃত রহিমা বেগম। পেশায় তিনি একজন পশুচিকিৎসক। এলাকায় তাকে সকলেই ওস্তাদ বলে ডাকেন।
নজির হোসেনের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রাথমিকের গণ্ডিতে থেমে গেলেও থামেনি জীবনপাঠ। তিনি বিশ্বকে পাঠশালা আর জীবনকে বই জ্ঞান করে এখনও অধ্যয়ন করে চলেছেন। যাত্রাশিল্পে নিবেদিত নজির হোসেন একাধারে গীতিকার, সুরকার ও পরিচালক।
শিল্পের এই অঙ্গনে তিনি প্রায় পাঁচশ শিষ্যের ওস্তাদ হলেও তাঁর কোনো ওস্তাদ ছিল না! অবাক বিষয় হলেও এটাই সত্যি। তাঁর কোনো ওস্তাদ বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও ছিল অনুপ্রেরণা। আব্দুল আলীম, আব্দুল লতিফ, আতা খান, সুবীর নন্দীর মতো শিল্পীদের গানে অনুপ্রেরণা পেয়ে তিনি নিজেও কিছু বন্ধুসহ শুরু করেন পথচলা। যাত্রা পরিচালনার পাশাপাশি যাত্রাপালায় নিজে অভিনয় এবং গানও গেয়েছেন।
নজির হোসেন প্রেমের ফাঁসি, হিংসার পরিণাম, কলঙ্কের ফুল, গরীবের ছেলে, রিক্সাওয়ালার ছেলে, প্রেমের সমাধীর তীরে, গরীব কেন কাঁদে, আবির ছড়ানো বাংলার মসনদসহ অনেক জনপ্রিয় নাটক ও যাত্রাপালা পরিচালনা করেন। ৩০টির মতো যাত্রাপালা রচনার পাশাপাশি গান রচনা করেছেন প্রায় ২ শতাধিক। বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে বাঁশি, হারমোনিয়াম, তবলা, জুড়ি, ঢোল, খোল ও বেহালায় পারঙ্গম তিনি। তাঁর হাতে এলেই যেনো বাদ্যযন্ত্রগুলো নিজে নিজে বেজে ওঠে।
শত-সহস্র দর্শকের সামনে যাত্রামঞ্চের সেই উজ্জ্বল আলো ঝলমলে রাত এখন অনেকটাই ফিকে। নিয়মিত মঞ্চস্থ না হওয়ার কারণে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে নজির হোসেনের দল। তবু তিনি লড়ে যাচ্ছেন, হাল ছাড়ছেন না। যতদিন পৃথিবীতে আছেন যাত্রার উজ্জ্বল আলোয় ভরিয়ে দিতে চান বাংলার প্রান্তর।

  • তানভীরুল ইসলাম : সম্পাদক ও প্রকাশক, ছুটিরপাতা।

Wednesday, May 13, 2020

Monday, May 11, 2020

চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাব এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাব এর উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
“ট্যাংকলরি কভার ভ্যান ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন” বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এর শ্রমিকদেরকে নিয়ে গঠিত  চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাব এর উদ্যোগে কর্মহীন পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওর্য়াড ব্যাপারী গ্রামের কর্মহীন অসহায়  ৫০পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন । খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল চাউল ও আলু। বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চৌমহনী বাজার একতা শ্রমিক ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (ড্রাইভার), সাধারন সম্পাদক আব্দুল মতিন খন্দকার মন্টুসহ সংগঠনের সদস্যগণ।