সর্বশেষ

Sunday, May 4, 2025

 ঈদের আগমন

ঈদের আগমন



লেখকঃ সুরঞ্জীত্ গাইন

সেটিং: ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ একটি অদ্ভুত গ্রাম, ঈদুল ফিতরের দিনে সূর্য ওঠার সাথে সাথে। মিষ্টি মিষ্টান্নের গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে এবং গ্রামবাসীরা উৎসবের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আনন্দের কান্না শোনা যায়।

চরিত্র: - ফাতেমা: ঈদ নিয়ে উত্তেজিত একটি অল্পবয়সী মেয়ে। - আমিন: ফাতেমার বড় ভাই, যিনি আরও ব্যবহারিক। - দাদু ইউসুফ: পরিবারের জ্ঞানী প্রবীণ, অতীতের গল্প নিয়ে। - সারা: ফাতেমার সেরা বন্ধু, উদযাপন নিয়ে সমানভাবে উৎসাহী। 

দৃশ্য ১: পারিবারিক বাড়ি *সূর্য পর্দা ভেদ করে উঁকি দেয়, রঙিন সাজসজ্জায় সজ্জিত একটি সাধারণ কিন্তু উষ্ণ বাড়ি আলোকিত করে। ফাতেমা বিছানা থেকে লাফিয়ে ওঠে।* ফাতেমা: (উত্তেজিতভাবে লাফিয়ে) আমিন! ঘুম থেকে উঠো! ঈদ! বছরের সেরা দিন! আমিন: (মৃদুস্বরে) ফাতেমা, অনেক তাড়াতাড়ি... আমি কি আর একটু ঘুমাতে পারি না? ফাতেমা: (কম্বল খুলে ফেলে) ঘুমানোর সময় নেই, বড় ভাই! আমাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করতে হবে! *ফাতিমা তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসে, আমিনকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও উঠে বসতে দেয়।*

দৃশ্য ২: রান্নাঘরে *রান্নাঘর গরম গরম শব্দ আর পেস্ট্রির মিষ্টি গন্ধে প্রাণবন্ত। দাদু ইউসুফ টেবিলে বসে এক কাপ চা নিয়ে।* ফাতিমা: (প্রবেশ করে) দাদু! তুমি কি তোমার বিখ্যাত বাকলাভা বানিয়েছো? দাদু ইউসুফ: (মুচকি হেসে) এখনও বানিয়ে ফেলোনি, আমার প্রিয়। কিন্তু আমার হৃদয়ে এখনও গোপন রেসিপিটি আটকে আছে। একটু সাহায্যের বিনিময়ে তোমাকে একটা গল্প বলবো? ফাতিমা: (উৎসাহের সাথে) চুক্তি! তুমি আমাকে কী বলবে? দাদু ইউসুফ: (হাসি) অনেক আগে, এখান থেকে খুব দূরে নয় এমন একটি শহরে, আমিনা নামে একটি তরুণী তোমার মতোই ঈদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু মিষ্টির পরিবর্তে, সে হতভাগ্যদের উপহার দিতে চেয়েছিল... 

দৃশ্য ৩: বাজারে *ফাতিমা আর আমিন রঙ আর হাসিতে প্রাণবন্ত বাজারের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। সারা তাদের দিকে দৌড়ে যাচ্ছে, চোখ ঝলমল করছে।* সারা: (শ্বাসরুদ্ধ) ফাতিমা! তুমি কি নতুন পোশাকগুলো দেখেছো? এগুলো এত সুন্দর! ফাতিমা: (হাসি হেসে) হ্যাঁ! আমি উজ্জ্বল রঙের একটা চাই! আমিন: (চোখ ঘুরিয়ে) শুধু মনে রেখো, নামাজের পর পরতে পারবে না। সারা: (খেলাধুলা করে) তুমি কখন ঈদ পুলিশ হয়েছো? আমিন: (হাসি হেসে) শুধু তোমাদের দুজনকে মাটিতে আটকে রাখার চেষ্টা করছি। 

দৃশ্য ৪: নামাজের সময় *পরিবারগুলো একটা বিশাল খোলা জায়গায় জড়ো হয়, সূর্য আকাশকে উজ্জ্বল করে। তারা নামাজের জন্য কার্পেট বিছিয়ে একে অপরকে উষ্ণভাবে শুভেচ্ছা জানায়।* ফাতিমা: (চারপাশে তাকিয়ে) সবাই একসাথে থাকার বিষয়টি আমার ভালো লাগে। এটা বিশেষ অনুভূতি দেয়। সারা: (মাথা নাড়িয়ে) আমরা যেখান থেকেই আসি না কেন, এটা একটা বড় পরিবারের মতো। দাদু ইউসুফ: (জনতার উদ্দেশ্যে সম্বোধন করে) ঈদ কেবল রোজা ভাঙার উৎসব নয়, প্রিয়জনরা। এটি একত্রিত হওয়া, আনন্দ ভাগাভাগি করা এবং যারা ভাগ্যবান নয় তাদের স্মরণ করার বিষয়ে। 

দৃশ্য ৫: নামাজের পর *নামাজ শেষ হয়, এবং পরিবার একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করে। ফাতিমা তার বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাতে দৌড়ে যায়।* ফাতিমা: (খুশির সাথে) ঈদ মোবারক! তুমি কি নামাজ উপভোগ করেছো? সারা: (উজ্জ্বলভাবে হেসে) এটা সুন্দর ছিল! আর ভাবছো তো? আমার ঈদের টাকা দিয়ে আমি একটা বড় দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে যাচ্ছি! ফাতিমা: (অনুপ্রাণিত হয়ে) অসাধারণ!আমিও তাই করতে চাই! আমিন: (যোগ দিয়ে) তোমাদের দুজনেরই আমিনার মতো মনোভাব আছে। ভাগাভাগি করে নেওয়াটাই এটাকে সত্যিই বিশেষ করে তোলে। 

দৃশ্য ৬: রাতের খাবারের টেবিল *পরিবারটি ঐতিহ্যবাহী খাবারে ভরা একটি সুন্দর টেবিলের চারপাশে জড়ো হয়। পরিবেশ হাসি এবং কথোপকথনে ভরে ওঠে।* দাদু ইউসুফ: (গ্লাস তুলে) পরিবারের জন্য! এবং প্রতিটি ঈদে আমরা যে স্মৃতি তৈরি করি। আমিন: এবং আরও অনেক গল্পের জন্য! ফাতিমা: এবং অভাবীদের কখনও ভুলে না যাওয়ার জন্য! সারা: (চশমা টিপে) ঈদ মোবারক, সবাই! 

দৃশ্য ৭: বাইরে তারার নীচে *সেই রাতে, আকাশ তারার মতো ঝিকিমিকি করে। ফাতিমা এবং সারা বাইরে বসে দিনটির কথা ভাবছে।* ফাতিমা: (চিন্তা করে) আজকের দিনটি ছিল নিখুঁত। আমি খুব খুশি যে আমরা একসাথে এটি ভাগাভাগি করতে পেরেছি। সারা: (মাথা নাড়িয়ে) আমারও। আমাদের এটিকে একটি ঐতিহ্য করে তোলা উচিত। ফাতিমা: (মুচকি হেসে) ঈদ কেবল দিন নয়, বরং আমরা যে ভালোবাসা এবং আনন্দ ভাগ করে নিই... এবং এটি সর্বদা উদযাপন করা উচিত। সারা: (তারাগুলোর দিকে তাকিয়ে) ঠিক তারাগুলোর মতোই, এই বিশেষ মুহূর্তগুলোতে আমাদের বন্ধুত্ব আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

*ক্যামেরাটি ভেসে ওঠে, গ্রামের উৎসব, পরিবারগুলোর হাসি, এবং লণ্ঠনের মৃদু আলো রাতকে আলোকিত করে, যখন তাদের চারপাশে ঈদের আমেজ বিরাজ করে।*  



Sunday, April 6, 2025

সোনার ছেলে মেয়ে

সোনার ছেলে মেয়ে

নতুন বছর পেয়ে নতুন বই; 
শিশু কিশোর স্কুলে চলে ওই। 
আনন্দে দলে দলে বাঁধন হারা প্রাণ;
বুক ভরে নেয় নতুন বইয়ের ঘ্রাণ।
দুরন্ত বালক বালিকা লেখা পড়া ভালোবাসে;
বিশ্ব জয়ের বিরাট স্বপ্ন জোয়ারে ভাসে।
ওরা যেন ছোট ছোট মিটি মিটি তারা;
উছ্বল কল কল ঝর্ণার ধারা।
সহজ সরল সোনার ছেলে মেয়ে;
অগ্র গামী আশার তরী বেয়ে।
ওদের আলোয় হবে আলোকিত বিশ্ব বাসী;
সুকর্মের সুরভী ফুল ফোটাবে রাশি রাশি। 


লেখক-

 সুরঞ্জীত্ গাইন,খুলনা

Wednesday, December 29, 2021

উলিপুরের ধামশ্রেনী ইউপি নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা

উলিপুরের ধামশ্রেনী ইউপি নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছেন কাশিয়াগাড়ী ৪নং ওর্য়াডবাসী।
গত ২৮ মঙ্গলবার রাতে রফিকুল ইসলামের নিজ বাস ভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান কাশিয়াগাড়ী ৪নং ওর্য়াডবাসী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো: জাবেদ আলী, ছুটিরপাতা ম্যাগাজিনের প্রকাশক ও সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকিউল খন্দকার, হাসানাত, এআর আতাউর রহমান, আব্দুল কাইয়ুম সরকার, নুরুজ্জামান মিয়া, দারোগ আলী, জামাল, কাইয়ুম, আব্দুল কাফি, দীলিপ চন্দ্র, লিখিল চন্দ্র, রিপন চন্দ্র, আব্দুর রহমান প্রমুখ।
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ধামশ্রেনী ইউপি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পেরে আমি নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। কারণ জনগনের ভালবাসা ও আস্থার কারণে আজ আমি ইউপি চেয়ারম্যান। জনগন আমাকে ভালবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি জনগনের ভালবাসা ও আস্থার মান রাখবো। ধামশ্রেনী ইউনিয়ন উন্নয়নে সকলকে নিয়ে কাজ করতে চাই। 

উল্লেখ্য, রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোটর সাইকেল প্রতিকে ৪ হাজার ১শ ৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মফিজল হক টেলিফোন প্রতিকে ২ হাজার ৩শ ৯২ ভোট পান।

Tuesday, July 20, 2021